

ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার আরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার সেলিম সিক্দার মধুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম নুরুজ্জামান এর নাম ব্যবহার করে থানায় আটককৃত আসামীকে ছারিয়ে নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আসামির পরিবারের সদস্যদের থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাম্প্রতি সময়ে আড়পাড়া ইউনিয়নে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মধুখালী থানা পুলিশ। অভিযানে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। আটক এক ব্যক্তির ভাতিজা অভিযোগ করে বলেন আমার চাচাকে থানা থেকে ছারিয়ে আনার জন্য মেম্বার সেলিম সিকদার থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে দাবি করে পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করে বলে আমি ওসির সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি ম্যানেজ করেছি,তোমার কাকা ছারিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি ২০ হাজার টাকা নেয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা এ ঘটনাকে দুর্নীতির চরম উদাহরণ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি কীভাবে পুলিশের নাম ব্যবহার করে এ ধরনের অবৈধ লেনদেনে জড়াতে পারেন।
এ বিষয়ে সেলিম সিকদারের কাছে জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হয়েছে তিনি কলটি রিসিভ করেননি।
এ ঘটনার বিষয়ে মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামান জানান,আমি বিষয়টি শুনেছি,ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে খোঁজ নিয়েছি,কেউ যদি আমার নাম ব্যবহার করে টাকা আদায় করে, সেটি সম্পূর্ণ বেআইনি।এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করব।ওসি আরো বলেন আমি কোন প্রকার ঘুষ লেনদেনের সাথে জড়িত নয়।
ভুক্তভোগী পরিবার এখন আইনের আশ্রয় নিতে চায় বলে জানিয়েছে। স্থানীয়দের অনেকে বিষয়টি তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সচেতন মহলের দাবি,মধুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম নুরুজ্জামান মধুখালী থানায় সুনামের সহিত তার দায়িত্ব পালন করে আসছেন,এছাড়াও ওসির নেতৃত্বে মধুখালী থানার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথেষ্ট ভালো রয়েছে। ওসির নাম ব্যবহার করে এই ধরনের ঘুষ লেনদেন একজন জনপ্রতিনিধির কাছে আমরা আশা করিনা। এটা জঘন্যতম অপরাধ।এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ রইল.
মো শরিফুল ইসলাম সেতু,উপজেলা প্রতিনিধি মধুখালী,ফরিদপুর।