

মাননীয় প্রধান উপদেস্ঠা মহোদয় জুলাই সনদ ঘোষনায় সশস্ত্র বাহিনীর অবদানের কোন উক্তি নেই কেন, প্রশ্ন জাতির কাছেঃ-
বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী বিদ্যমান।
৭১’এর স্বাধীনতা যুদ্ধে নিশ্চিত ফাঁসির কথা জেনেও ২৬ মার্চ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য কর্তৃক ঘোষিত হয়েছিল ” WE REVOLT” তার মানে সশস্ত্র বাহিনীরা রিভোল্ট করেছে। এর মানে দেশের মুক্তিযোদ্ধারা সাহস পেলো তারা একা নয়, এই ভেবে তাদের শক্তি আরো কয়েকগুন বেড়ে গেল।
ঐ সময়ে রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে বিভিন্ন ইজম ও দন্ধ কাজ করলেও সেনাবাহিনী ঠিকই যুদ্ধ কৌশলের সর্বোচ্চ মাত্রা বিস্তৃত করে পুরো বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করে স্বাধীনতাকে ত্বরান্বিত করেছিল।
পার্বত্য চট্রগ্রামের ইনসার্জেন্ট দমনে আর্মি যদি কার্যকরী পদক্ষেপ না নিত তাহলে পার্বত্য জেলা সমূহ বাংলাদেশের অংশ থাকতো কি না, গবেষনার বিষয় বটে।
শান্তিকালীন সময়ে দেশের যে কোন দুর্যোগে সেনাবাহিনীর ভূমিকা সর্বজন স্বীকৃত।
গত ৩৬ জুলাই ২৪ আন্দোলনে সেনাবাহিনী যদি তাদের অবস্হান পরিবর্তন না করতো তা হলে আন্দোলনের সফলতা কোথায় গিয়ে দাঁড়াতো তা সময়ই বলে দিতো।
অবসরপ্রাপ্ত অফিসার, জুনিয়র অফিসার ও সৈনিকদের ভুমিকাও কোন অংশে কম নয়। উল্লেখ্য, এখনও তারা অনুরুপ দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় জুলাই সনদ ঘোষনা করলেন। কিন্তু বাহিনীসমুহ ও বাহিনী সদস্যদের অবদানের ছিটেফোটাও সনদের কোথাও আছে বলে মনে হলো না।
বিষয়টি সংশ্লিষ্ট পক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলো। ধন্যবাদ।