প্রিন্ট এর তারিখঃ জুন ২৮, ২০২৫, ৮:২১ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মার্চ ৮, ২০২৪, ১:২০ পি.এম
টাঙ্গাইলে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৪ ঝাঁক ঝমক পূর্ণ ভাবে পালিত

টাঙ্গাইলে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৪ ঝাঁক ঝমক পূর্ণ ভাবে পালিত
আজ ৮ মার্চ টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৪ ঝাঁক ঝমক পূর্ণ ভাবে পালন করা হয় , বিশ্ব জুড়ে সমগ্র নারী সমাজের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে আজকের এই দিনটি । দিবসটি উদযাপনের পেছনে রয়েছে নারী শ্রমিকের অধিকার আদায়ের দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস। ১৮৫৭ সালের ৮ই মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের সেলাই কারখানার নারী শ্রমিকরা বিপদজনক ও অমানবিক কর্মপরিবেশ, স্বল্পমজুরি এবং দৈনিক ১২ ঘণ্টা শ্রমের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করেন । তাদের এ শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর পুলিশ হামলা চালায়। তিন বছর পরে ১৮৬০ সালের ৮ই মার্চ, নিউইয়র্ক শহরের পোশাক শিল্প কারখানার নারী শ্রমিকরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে তাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নিজস্ব ইউনিয়ন গঠনে সমর্থ্য হন ।

১৯০৮ সালের ৮ই মার্চ, আবারো নিউইয়র্ক শহরের একটি প্রতিবাদ মিছিল বের হয়, যাতে পোশাক শিল্পের নারী শ্রমিকরা যোগদান করে। ৮ই মার্চে-এর এ ঘটনা ধারার সম্মিলনের ফলে ১৯১০ সালে ডেনমার্কের ওপেন হেগন এর দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলনে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী পেয়ারা জেটকিং এর প্রস্তাব অনুসারে ওই দিনটিকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নারী দিবস কমিটির আয়োজনে বিগত ৩৩ বছর ধরে এক একটি সুনির্দিষ্ট প্রতিপাদ্য নিয়ে এই দিবসটি পালন করছে, এবারের প্রতিপাদ্য 'নারীর সুরক্ষায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি করুন' । একজন নারী তার পরিবারের স্ত্রী, মা, তথা সেবিকার দায়িত্ব পালনে একটা বড় সময় ব্যয় করেন ।এরপরে আছে সামাজিক দায়িত্ব, তদুপরি সে নারী যদি হন কর্মজীবী তাহলে দিনের ১৮ থেকে ২০ ঘন্টায় তাকে ঘরে বাইরে সমানভাবে কাজ করে যেতে হয়। সর্বোপরি মানব প্রজন্ম রক্ষায় সন্তান জন্ম দান সহ লালন-পালন করার মূল দায়িত্বটিও নারীরই ।

পারিবারিক ও জাতীয় অর্থনীতিতেও প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে নারীর অবদান গুরুত্বপূর্ণ, অথচ নারীর মর্যাদাপূর্ণ ও সুরক্ষিত জীবনের জন্য পরিবার ও রাষ্ট্রের কোথাও পর্যাপ্ত বিনিয়োগ নেই । নারীকে দিতে হবে একজন পরিপূর্ণ মানুষের মর্যাদা এবং নিশ্চিত করতে হবে তার সার্বিক সুরক্ষা এর জন্য নিন্মোক্ত পদক্ষেপ সমূহ গ্রহণ করা অতীত জরুরী।
.
শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে, যানবাহনে ও যাতায়াত পথসহ পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর সর্বাধিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ রাখা।
বাংলাদেশ কর্তৃক স্বাক্ষরকৃত নারী প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ আন্তর্জাতিক সনদ অনুযায়ী সকল বৈষম্যমূলক আইন নীতিমালা কর্মসূচি প্রথা চর্চা এবং বিধি-বিধান সংশোধন ও বিলুপ্ত করা প্রয়োজন।
নতুন আইন প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বিনিয়োগ করা.
উপরোক্ত পদক্ষেপসমূহের কার্যকর বাস্তবায়নে সরকার ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কর্তৃক পর্যবেক্ষণ করা ও জবাবদিহিতার আওতায় আনা এবং একজন নারীকে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দেওয়া সময়ের দাবি।
Copyright © 2025 Sony Bangla TV. All rights reserved.