অপরাধ

হাসানের কফিন কাঁধে ছাত্র-জনতার মিছিল

অনলাইন ডেস্ক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ মো. হাসানের (১৯) কফিন কাঁধে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী ও সাধারণ জনতা। বিক্ষোভ মিছিল থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জানান তারা।

শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে হাসানের প্রথম জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। পরে কফিন নিয়ে ভিসি চত্বরের দিকে কফিন মিছিল বের করেন ছাত্র-জনতা।

কফিন মিছিলে ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে?’ ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’ ‘সাইদ, ওয়াসিম, মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’ ‘খুনি হাসিনার বিচার চাই’সহ একাধিক স্লোগান দেন তারা।

জানাজা শেষে শহীদ হাসানের বাবা মো. মনির হোসেন বলেন, আমার ছেলে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে থাকতো। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের মধ্যে গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলো না। আমরা হাসপাতাল, ক্লিনিক, কবরস্থান, আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলামসহ আমাদের পক্ষ যত জায়গায় সম্ভব হয়েছে খুঁজেছি। কিন্তু কোথাও তাকে পাইনি। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) মর্গে যাই এবং কাপড়চোপড় দেখে ছেলেকে শনাক্ত করি। আগামীকাল শনিবার ভোলা সদরে নিজ এলাকায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে সকাল ১০টা নাগাদ আমার ছেলেকে দাফন করা হবে।

শেখ হাসিনার বিচার দাবি করে তিনি বলেন, আমি চাই আমার মতো কোনো বাবা যেন তার সন্তান না হারায়। আমি সরকারের কাছে আমার ছেলের হত্যার বিচার চাই।

প্রসঙ্গত, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে নিহত হন মো. হাসান (১৯)। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ছয় মাসেরও বেশি সময় পড়ে ছিল হাসানের মরদেহ। অবশেষে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়।

মো. হাসানের গ্রামের বাড়ি ভোলার সদর উপজেলার কাছিয়া এলাকায়। যাত্রাবাড়ীতে বড় বোনের বাসায় থেকে কাপ্তানবাজারে দুলা ভাইয়ের ইলেকট্রনিকস পণ্যের দোকানে কাজ করতেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button