মোঃ নূরহোসেন ধামরাই ঢাকা প্রতিনিধিঃ-
গত ২২ আশ্বিন ১৪২৯ বঙ্গাব্দ (৯ অক্টোবর থেকে ১২ অক্টোবর)রোজ বুধবার পর্যন্ত পাইছাইল বীণাপাণি সংঘের আয়োজনে শ্রী শ্রী লক্ষ্মী পূজার আয়োজন করা হয় । রবিবার ঊষালগ্ন থেকে বিজয়া দশমী নিশি পর্যন্ত পূজাঙ্গনে নানান অনুষ্ঠানদির আয়োজন করা হয় । তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য,পাইছাইল বীণাপাণি সংঘের সকল সদস্যদের মাঝে শুভেচ্ছা উপহার বিতরণী কর্মসূচি। নৃত্যানুষ্ঠান এবং ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান উৎযাপিত হয় । শুভেচ্ছা উপহার বিতরণী কর্মসূচি ও অন্যান্য অনুষ্ঠানাদতে উপস্থিত ছিলেন পাইছাইল বীণাপাণি সংঘের সাবেক সভাপতি সুশীল চন্দ্র রায়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক লক্ষণ চন্দ্র রায়,সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র রায়, ২ নং ওয়ার্ড মেম্বার মাহবুবুর রহমান রতন,১নং ওয়ার্ড মেম্বার জালাল উদ্দিন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক দেবাশীষ ভৌমিক, ধামরাই উপজেলা ছাত্রলীগনেতা ডি টি সুমন হোসেন,বিএফ শাহীন কলেজের প্রভাষক আব্দুল আহাদ,আফাজ উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক ইসতিয়াক ইসলাম সহ উপস্থিত ছিলেন আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ ও গ্রামবাসী । এ সময় পাইছাইল বীণাপাণি সংঘের সাবেক সভাপতি সুশীল চন্দ্র রায় বলেন,আমি শুধু বিষ্ময় দৃষ্টিতে দেখছিলাম প্রতিটি তরুণের প্রাণবন্ত উদ্দিপনা, দক্ষতা এবং কর্মকুশলতা । তাদের নেতৃত্বে আমাদের গ্রামে বিরাজ করছে আজ উৎসবমুখর একটি পরিবেশ।তিনি নতুন কমিটির উদ্দেশ্য বলেন , ছোট ছোট বালুকণা,বিন্দু বিন্দু জল গড়ে তোলে মহাদেশ,সাগর অতল।। পাইছাইল বীণাপাণি সংঘের আজ ১৩ বছর। ছোট্ট পরিসরে গ্রামবাসীর সম্মতিতেই পথচলা শুরু হয়েছিলো আমাদের ২০০৯সালে । ক্ষুদ্রের সম্মিলনেই যে হতে পারে বৃহতের সৃষ্টি আজকের এই দিনটিই তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আজ নতুন কমিটির স্পর্শে পাইছাইল বীণাপাণি সংঘ পেয়েছে নতুন নেতৃত্ব, নতুন রূপে হয়েছে উজ্জ্বীবিত।তিনি রবী ঠাকুরের বাণী স্মরণ করে বলেন ,যে সমাজে শৃঙ্খলা আছে,ঐক্যের বিধান আছে, সকলের স্বতন্ত্র স্থান ও অধিকার আছে, সেই সমাজেই পরকে আপন করিয়া লওয়া সহজ । আমাদের পক্ষে সেসময় অনেক কিছুই সহজ করে নেয়া সম্ভব হয়ে উঠেনি যা তোমাদের পক্ষে সহজ হয়েছে । তিনি নতুন কমিটির উদ্দেশ্য আরো বলেন, তোমাদের সুযোগ্য নেতৃত্ব আর কর্মকুশলতার গুণে পাইছাইল বীণাপাণি সংঘ এখানেই থেমে যাবে না । এগিয়ে যাবে দূর থেকে বহুদূরে । পাইছাইল বীণাপাণি সংঘের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লক্ষণ চন্দ্র রায় বলেন,পাইছাইল বীণাপাণি সংঘ দু-এক দিনে প্রতিষ্ঠা লাভ করেনি । অনেক ত্যাগ তিতিক্ষা আর সংগ্রামের ফলেই আজকের এই সফলতা । তিনি আরো বলেন , আমরা নতুন কমিটির নিকট দায়িত্ব তুলে দিয়েছি ইতিমধ্যেই তারা তাদের কর্মকুশলতা আর দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে।আশা করি তরুণ সমাজ এখানেই থেমে যাবে না। আমি বিশ্বাস করি প্রতি বছর বছর ই গ্রামে এমন একটি উৎসবমুখর পরিবেশ তারা সৃষ্টি করবে । কতোটা পারবো জানি না আমরা বটবৃক্ষের ন্যায় তাদের ছায়া দেওয়ার চেষ্টা করবো ।তিনি প্রার্থনা করেন ,শ্রী শ্রী লক্ষ্মী মাতার করুণাধারা যাতে সকলের উপর বর্ষিত হয়। সকল অশুভ শক্তিকে যাতে আমরা পরাজিত করতে পারি । পাইছাইল বীণাপাণি সংঘের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র রায় বলেন, ছন্দহীন কবিতা যেমন উৎশৃঙ্খল , শব্দের সমাহার মাত্র, শৃঙ্খলাহীন ব্যক্তিজীবনও তেমনি । তিনি প্রত্যাশা করেন সময়ের প্রয়োজনে পাইছাইল বীণাপাণি সংঘের সৃষ্টি হয়েছিলো, এবং সময়ের প্রয়োজনেই পাইছাইল বীণাপাণি সংঘ টিকে থাকবে । উপস্থিত ছিলেন পাইছাইল বীণাপাণি সংঘের বর্তমান কমিটির সভাপতি কুমার সপ্তর্ষি রায়, সাধারণ সম্পাদক আশানন্দ সরকার,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জয় রায়,কমল রায় ,সাগর মন্ডল, শুভ রায় , অর্থ সম্পাদক সুশীল রায়,প্রভাত সরকার, সপ্তর সম্পাদক হৃদয় রায়, রামপ্রসাদ বিশ্বাস , সাংগঠনিক সম্পাদক বরুণ রায়। পাইছাইল বীণাপাণি সংঘের উপদেষ্টা মণ্ডলীগণ -সুশীল চন্দ্র রায়, লক্ষণ চন্দ্র রায়,কার্তিক চন্দ্র রায়,গীতা রাণী রায় ,নিতাই বিশ্বাস , , সুব্রত রায়,রতন রায়,চন্দ্রমোহন মন্ডল,পরাণ সরকার,বীরেন চন্দ্র রায়, শুভ আকবর । পাইছাইল বীণাপাণি সংঘের নতুন কমিটির সভাপতি কুমার সপ্তর্ষি রায় বলেন, পৃথিবীটা মানুষের হোক ,ধর্ম থাকুক অন্তরে, মসজিদে আজান হোক,ঘন্টা বাজুক মন্দিরে। সমগ্র দেশব্যাপী এমন অসম্প্রদায়িক চেতনায় জাতি- ধর্ম -বর্ণ নির্বিশেষে আজকের আনন্দমুখর উৎসবে মেতে উঠেছে। বর্তমান কমিটির সভাপতি কৃতজ্ঞতা ঞ্জাপন করেন,পাইছাইল বীণাপাণি সংঘের সাবেক সভাপতি তার বাবা সুশীল চন্দ্র রায় এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক লক্ষণ চন্দ্র রায় সহ সাবেক পরিচালনা পর্ষদের প্রতি ।তিনি সাবেক পরিচালনা পর্ষদের উদ্দেশ্য বলেন, আপনারা গ্রামের উজ্জ্বল নক্ষত্র, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ,স্পষ্ট ও মৃষ্টিভাষী, সুপ্রতিষ্ঠিত এবং সুশীল সমাজের কান্ডারি । আমাদের স্মৃতির পাতায় আপনারা চির অম্লান ।পাইছাইল বীণাপাণি সংঘের বর্তমান কমিটির সভাপতি কুমার সপ্তর্ষি রায় বিজয়া দশমীতে কৃতজ্ঞতা জানান, তার সংগঠনের সকল সদস্যদের, সেইসাথে যারা উর্ষালগ্ন থেকে বিজয়া দশমী নিশি পর্যন্ত পূজাঙ্গনকে উৎসবমুখর করে তুলেছেন।