অর্থনীতিব্যাংক ও বীমা

বেস্ট লাইফ ইন্সুরেন্সের ১২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে জমকালো আয়োজন

শেখ মনিরুল ইসলাম

 সময়ের  জনপ্রিয় এবং গ্রাহকের আস্থাভাজন প্রতিষ্ঠান বেস্ট লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি, ২০১৩ সালের ২৩ শে আগষ্ট সরকারি সকল কাজ শেষে বীমা নিয়ন্রন সংস্থার লাইসেন্স পান, এরপর ২৫ আগস্ট আনুষ্ঠানিক ভাবে কোম্পানিটির কার্যক্রম শুরু হয়। দীর্ঘ ১২ বছর পার করে কোম্পানিটি এখন ১৩ বছরের পদার্পণ করল, দীর্ঘ ১২ বছরে গ্রাহক কর্মী কর্মকর্তা সকলের আস্থাভাজন প্রতিষ্ঠানের নাম এখন বেস্ট লাইফ। গতকাল সোমবার ২৫/০৮/২৫ রাজধানীর একটি বিলাস বহুল হোটেল সেন্ট্রালইন এর বাপার হল রুমে কেক কেটে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্য এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তাগন জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ইন্সুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব সাঈদ আহমেদ। অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের সম্মানিত চেয়ারম্যান এবং পরিচালনা পর্ষদের অত্যান্ত আস্থাভাজন ব্যাক্তি মেজর জেনারেল আব্দুল হাফিজ মল্লিক পিএসসি (অব:) আরো উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান ড: নাদিয়া বিনতে আমিন পরিচালক সৈয়দ বদরুল আলম, মিসেস পারভিন হোসেন, সাজেদা নূর বেগম, মোহাম্মদ মোবারক হোসেন, বিমল কুমার চন্দ্র, এহসানুল হাবিব, নাসরিন আহমেদ, সাইদুজ্জামান সজিব, সুলাইমান খান মজলিস, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানটির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এ সময়ের সব চেয়ে ডায়নামিক লিডার জনাব আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম। এরপর সর্বোচ্চ ব্যবসা প্রদানকারী সফল কর্মী কর্মকর্তাগন বক্তব্য রাখেন , প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন ,বেস্ট লাইফ একটি স্বচ্ছ এবং জবাবহিতামূলক প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান সহ পরিচালকগণ এদেশের অত্যন্ত দায়িত্বশীল ব্যক্তি , আপনারা সকলেই তাদের প্রতি আস্থা রেখে কাজ করে যান। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বীমা শিল্পের বিরাট ভূমিকা রয়েছে, আমরা এই বীমা শিল্পকে কাজে লাগিয়ে দেশের বেকারত্ব দূরীকরণ করতে পারি, দীর্ঘ ১৫ বছর পর একটি সফল নির্বাচনের মাধ্যমে আমি ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের দায়িত্ব নিয়েছি,দায়িত্ব নেওয়ার পর দেখলাম লাইফ, নন লাইফ মিলে ৮২ টা প্রতিষ্ঠানের ভিতর বিভিন্ন প্রকার সমস্যা রয়েছে, অচিরেই আমরা সকল মালিক এবং বিমা নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে সাথে নিয়ে এ সকল সমস্যার সমাধান করব ইনশাল্লাহ ।প্রয়োজনে বর্তমান আইন সংশোধন করে হলেও গ্রাহক কর্মী কর্মকর্তা, শেয়ার হোল্ডারগনে স্বার্থ সংরক্ষণ করা হবে। তিনি সাবেক সভাপতির সমালোচনা করে বলেন দীর্ঘ ১৫ বছরে বিমা নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে একটি অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা হয়েছে, অ্যাসোসিয়েশন কে ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করেছেন, আমরা দেশের অর্থনীতির স্বার্থে এ শিল্প কে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সকলেই মিলে এক যোগে কাজ করতে হবে,

অনুষ্ঠানের সভাপতি এবং প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে বলেন বিগত ১২ বছরে কোন মানুষের একটি এসবি ম্যাচুরিটি, মৃত্যুদাবি বকেয়া নাই, আমরা চেষ্টা করছি আমাদের প্রতিষ্ঠানের কোন গ্রাহক যদি মারা যায়,তার কবরস্থ/ দাহ করার আগেই তার দাবি নমিনীর হাতে পরিশোধ করা হবে, তিনি ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা কর্মী কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আপনারা সকলেই পরিষদের উপর আস্থা রাখুন এবং মন প্রাণ উজাড় করে কাজ করে প্রতিষ্ঠানকে ১০ নম্বরের ভিতর নিয়ে আসবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button