

গত সপ্তাহে সিরিয়া সীমান্তবর্তী জর্ডানের একটি মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালায় ইরান-সমর্থিত ইরাকি সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স। ওই হামলায় আমেরিকার তিন সৈন্য নিহত হয় এবং ৪০ জনের বেশি সেনা আহত হয়।
ওই হামলার জবাবে ইতোমধ্যে ইরাক ও সিরিয়ায় প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। দুই দেশে অর্ধ-শতাধিক লক্ষ্যবস্তুতে মার্কিন সামরিক বাহিনীর হামলায় বেসামরিক নাগরিকসহ প্রায় ৫০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
রবিবার হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্র আরও হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজের ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সুলিভান বলেন, আমরা একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠাতে চাই যে, আমাদের বাহিনীর ওপর যদি হামলা হয় আর আমাদের লোকজন নিহত হন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিক্রিয়া জানাতে আরও হামলা করবে এবং অতিরিক্ত পদক্ষেপ নেবে।
এদিকে, শনিবার ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের অন্তত ৩৬টি লক্ষ্যবস্তুতে যৌথভাবে হামলা চালিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন। গত সপ্তাহে জর্ডানে প্রাণঘাতী হামলায় আমেরিকান তিন সৈন্যের মৃত্যুর পর ইরান-সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে আমেরিকা।
পেন্টাগন বলেছে, হুথি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা চালানোর জন্য ব্যবহার করে এমন ১৩টি স্থান লক্ষ্য করে শনিবারের হামলা করা হয়েছে। এর আগে, গত শুক্রবার সিরিয়া ও ইরাকে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অন্তত ৮৫টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এই হামলায় দুই দেশে অন্তত ৪৮ জনের প্রাণহানি ঘটে। নিহতদের মধ্যে বেসামরিক নাগরিকও রয়েছে।
মার্কিন আরেক সংবাদমাধ্যম সিবিএসের ফেস দ্য ন্যাশন অনুষ্ঠানে সুলিভান বলেছেন, ‘‘শুক্রবার যা ঘটেছে তা আমাদের প্রতিক্রিয়ার শুরু মাত্র, শেষ নয়। আমরা কিছু দেখা, কিছু সম্ভবত অদেখা আরও পদক্ষেপ গ্রহণ করব। তবে আমি এটাকে উন্মুক্ত সামরিক অভিযান বলব না।” সূত্র: রয়টার্স